বায়না
– সঞ্জিত মণ্ডল
বুড়ো বয়সে অর্থ আসে কিসের প্রয়োজন-
দাঁত পড়ে যায় আহার বিহার সবই নিয়ন্ত্রণ।
মাথায় বিশাল টাক পড়ে যায় চুল সাদা তখন-
সব কিছুতেই অতি সাবধান রোগেতে ভগ্ন মন।
এর উপরেও হয় যদি কারো শরীরে চিনি ও ছানি-
সব বরবাদ ওষুধের বড়ি অপারেশনের ঘানি।
কিডনিতে ভরা পাথর সেগুলো দামী নাকি কমদামী-
গল ব্লাডার যে অপারেট হবে সেটাতো শুনেছি দামী।
কানে লেগে গেছে হিয়ারিং এড আর গাঁটে গাঁটে বাত-
ওষুধ, মালিশ, বালিশ লাগিয়ে তবু্ও তো কূপোকাৎ!
পেটে জমে থাকে অনন্ত গ্যাস সিলিন্ডারটা ভরা-
চুলোয় আগুন জ্বলে নাকো তাতে সকলই ছন্নছাড়া।
কলকব্জারা নড়বড়ে সব ইস্কুরুপ ও ঢিলে-
চলতে ফিরতে কড়াৎ মড়াৎ শব্দ কেমন তোলে।
দেহ যন্ত্রটা শুকিয়ে পাকিয়ে দড়ি দড়া হয়ে যায়-
শোয়া বসা হাঁটাচলা পাশফেরা সকলই হয়েছে দায়।
প্রষ্টেটগ্ল্যান্ড ফুলে ফেঁপে ওঠে বাহাত্তরটা হলে-
সে মহা বিপদ নড়াচড়া দায় কয়েকটা দিন গেলে।
কি যে খাওয়া যাবে কোনটা খাবেনা ভেবে মরে সারাক্ষণ –
হিসেব নিকেশ সব বৃথা যায় বুড়ো আংলার মন।
মন তার কিসে শান্ত হবে সে ভাবনাটা ভেবে যায়-
বাজারেতে গেলে দেখে মনে হয় কতো সুখ দুনিয়ায়!
মহামারী অরি কোথাও নেইকো বেচাকেনা করে যায়-
খবর পড়ে ও শুনে যে প্রাণটা ভাবে বাঁচা হবে দায়!
ভাষণ শুনলে যেন মনে হবে মিথ্যার শেষ নাই-
ঘরেতে সবাই বন্দী তবুও ভয়ে ভয়ে মরে যাই।
কে কবে পথেতে মরে পড়ে থাকে এ চিন্তায় সবাই-
ভাগের মা যে গঙ্গা পায় না দায় বেঁচে থাকাটাই।।
আমার আন্তরিক ধন্যবাদ আর অন্তহীন শুভেচ্ছা জানাই। প্রিয় অমল দাস, রীণা চ্যাটার্জি ও স্বজন সাথীর জন্য অশেষ শুভ কামনা রইল। আলাপী মনকে ধন্যবাদ।